বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা মহানগর আহবায়ক এডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। এই পট পরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ যেকোনো ক্রান্তি লগ্নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রে ভারত মদ্য দিয়েছে বর্তমানেও চব্বিশের স্বাধীনতা করতে ভারতীয় ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে এজন্য সাংবাদিকসহ সকল পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভারতীয় তাবেদারদের মোকাবেলা করতে হবে। ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৪টায় মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন।
ইউনিয়নের সভাপতি মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয় ও কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানার পরিচালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ইউনিয়নের সদস্য আশরাফুল ইসলাম নূর, দৈনিক কালবেলার খুলনা ব্যুরো প্রধান বশির হোসেন, ঢাকা পোস্টের খুলনা প্রতিনিধি ও খুলনা গেজেটের চীফ রিপোর্টার মোহাম্মদ মিলন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সদস্য এম এ হাসান, ডা. মো. জাকিরুল ইসলাম, মাশরুর মোর্শেদ, মাকসুদ আলী, স ম গোলাম মোস্তফা, আহমদ মুসা রঞ্জু, আবুল হাসান শেখ, আমিরুল ইসলাম, কামরুল হোসেন মনি, দীপ্ত টেলিভিশনের খুলনা প্রতিনিধি ইয়াসিন আরাফাত রুমি, জি এম রাসেল, খুলনা গেজেটের ইমরান হোসেন, দৈনিক প্রবাহের কামাল হোসেন প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য মূহাম্মদ নূরুজ্জামান।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময় দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করছি যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদীরা পুনরায় ফিরে এলে জাতি এক মহাসঙ্কটে নিপতিত হবে। এ অবস্থায় জাতিকে রক্ষা করার জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল-মত-নির্বিশেষে এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে আধিপত্যবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সিপাহি জনতার সফল বিপ্লব সংঘটিত হয়। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। একদলীয় শাসনের পরিবর্তে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। দেশে পতিত আওয়ামী গোষ্ঠী আবারো ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করে, গণতন্ত্র নির্বাসিত করে দেয় ও মানবাধিকার বিপন্ন করে তোলে, ভোট ও ভাতের ন্যায্য অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করে।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ২৫ বছরের গোলামীর চুক্তিসহ বাংলাদেশকে ভারতের দাবেদার রাজ্যে পরিণত করার যেসব ষড়যন্ত্র হয়েছিল জিয়াউর রহমান ছিলেন সেইসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার অগ্রনায়ক। আজও বাকশালীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ প্রেমিক সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা সম্ভব।
খুলনা গেজেট/এএজে